আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ ওয়েবপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম

Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র

স্বাস্থ্য মানব উন্নয়ন পরিমাপের একটি বিশ্বজনীন সূচক। বাংলাদেশের সংবিধান স্বাস্থ্যসেবা পাওয়াকে রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ সরকার নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আলোকবালী ইউনিয়নের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রটি ইউনিয়নের আলোকবালী গ্রামের আব্দুল মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্নে অবস্থিত। এই সেবা কেন্দ্রটি আলোকবালী ইউনিয়নের জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা প্রদানের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। অফিস ভবনটি একতলা। উক্ত ভবনে নিয়মিত চিকিৎসকগণ অবস্থান করে জনসাধারনকে সেবা প্রদান করেন। সেবা নিন, সুস্থ থাকুন।

কি সেবা কিভাবে পাবেন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন ইউনিয়ন পর্যায়ের দপ্তরসমূহ হলঃ  (১) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র  (২) ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র (৩) কমিউনিটি ক্লিনিক। এসকল কেন্দ্রে  প্রাতিষ্ঠানিক এবং মাঠ পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচীগুলো পরিচালিত হয় সেগুলি হলোঃ


১) রোগ নিরাময়ঃ ডাক্তার ও প্যারামেডিক্স এর তত্ত্বাবধানে বহিঃবিভাগীয় রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং সীমিত পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াও এখানে সীমিত ওষুধ সরবরাহও দেয়া হয়। ওয়ার্ড পর্যায়ে কমুনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে সাধারণ রোগগুলোতে আক্রান্তদেরকে সীমিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়। সব পর্যায় থেকেই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিবেচিত হলে উচ্চতর পর্যায়ে বা হাসপাতালে রেফার করা হয়।


২) রোগ নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধঃ রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে পরিচালিত কাজগুলোর মধ্যে প্রধান হল সম্প্রসারিত টিকা দান বা Expanded program on Immunization সংক্ষেপে EPI program। এই কর্মসূচীর অধীনে সকল ০-১১ মাসের শিশু কে যক্ষা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি, নিউমোনিয়া এবং হাম এই ৮টি রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়। নবজাতকের ধনুষ্টংকার প্রতিরোধের জন্য সকল মহিলাকে ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদেরকে ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়। শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব রোধের জন্য অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে বছরে ২ বার ৬ মাস থেকে ২ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ২-৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুলসহ ১টি করে কৃমিনাশক বড়ি খাওয়ানো হয়। ৫-১২ বছর বয়সী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সম পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশুদের বছরে ২ বার কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এছাড়াও অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালো থাকার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া হয় এবং জনগনকে স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপনে উদ্বুদ্ধ করা হয়।


৩)  নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করাঃ এলাকাতে প্রকোপ আছে এরূপ সকল সংক্রামক রোগ যেমন ডায়রিয়া, যক্ষ্মা, এইডস, এ আর আই, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, কালাজ্বর ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা অনুসরণ করে পুরো বছর নির্দিষ্ট এবং স্বতন্ত্র কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়, এর মধ্যে উল্লেখ্য পোলিও নির্মূলের জন্য প্রতি বছর ১ বার দুই রাউন্ড সকল ০৫-০৯ মাসের শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। এরুপ সকল সংক্রামক রোগগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচী সম্পন্ন করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে। নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে সকল গর্ভবতীকে নিবন্ধন করা হয়, প্রসব পর্যন্ত সকলকে নিয়মিত চেক আপ করা হয় এবং ঝুঁকি যাচাই করা হয়। গর্ভবতীর অবস্থা অনুযায়ী গ্রাম পর্যায়ে CSBA  কর্তৃক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার বা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কর্তৃক প্রসবের ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রয়োজন বিবেচিত হলে বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী হলে তাহাকে উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করা হয় বিশেষত যে সকল হাসপাতালে EOC বা জরুরী প্রসূতি সেবা চালু আছে সে সকল হাসপাতালে। এছাড়া প্রসব পরবর্তী সেবা প্রদানসহ গর্ভবতী মা ও শিশুদের পুষ্টি বিষয়ক সেবা প্রদান করা হয়। সকল প্রসূতিকে প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে ভিটামিন -এ খাওয়ানো হয়।